কুফর আর মুসলিম শক্তির মধ্যে চলমান যুদ্ধের কথা ভাবতে গিয়ে প্রায়ই ভাবি, মুসলমানদের এই এই দেশগুলো আক্রান্ত হয়েছে। আর আমাদের এদিকে কিছু দেশ বাকি আছে। মাঝে মাঝে ভাবি, তারপর কোন দেশটি আক্রান্ত হতে পারে?
কিন্তু হঠাৎ অনুভব হলো, এই ভাবনা কিছুটা জাতীয়তাবাদী হয়ে গেলো কিনা?! আমরা মুসলিম, এটাই আমাদের পরিচয়। আমাদের প্রিয় নবী (স) কি এটাই শিখাননি যে, আমরা সমস্ত মুসলমান এক দেহের মত। সুতরাং , এটা ভাবা হয়তো মোটেই ঠিক নয় যে, আমাদের মধ্যে এই এই দেশ বাকি আছে। বিশুদ্ধ ভাবনা তো এটাই হবে যে, আমরা আক্রান্ত। যেমন আমাদের বাংলাদেশ যখন আক্রান্ত হলো আমাদের সবাই কিন্তু ভেবেছে, আমরা আক্রান্ত হয়ে গেছি পুরো বাংলাদেশই। তখন সবাই এমনকি যাদের নিজস্ব গ্রাম শহর হয়তো তখনো আক্রান্ত হয়নি, তারাও ঝাঁপিয়ে পড়েছে দেশরক্ষায়, নয় কি?
জাতীয়তাবাদী ধারণা ইসলামের কোন অংশ নয়। কুফফার শক্তি নিজের স্বার্থ হাসিলেই মুসলমানদের মধ্যে এই ধারণা প্রচার করেছে, মানচিত্র দিয়ে আলাদা করে দিয়েছে ধীরে ধীরে। আমরা বোকার মত তা কবুল করেছি আর সমস্ত শক্তি, সামর্থ্য এবং যোগ্যতা থাকা সত্বেও নিজেরা পরস্পর অনেক দূরে সরে থেকে নিজেকে দূর্বল থেকে দূর্বল করে রেখেছি। ওদিকে কুফফাররা নিজেদের সুবিধামত পারস্পরিক ঐক্য সুসংহত করছে। অথচ বাহ্যিক স্বার্থেও যদি আমরা একতাবদ্ধ হতাম!
সুতরাং, চলুন এবং চলুন আমরা অবশ্যই সংশোধিত হয়ে যাই যে, আমরা অন্তর দ্বারা বিশ্বাস করি পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম আমরা সবাই এক দেহ , এক প্রাণ , এক জাতি। আমাদের যে অংশই আক্রান্ত হয়ে যাই, আমরা তা এভাবেই ভাবব, এভাবেই ব্যক্ত করব যে, আমাদের ফিলিস্তিনের অংশ আক্রান্ত হয়ে গেছে বা আমাদের সিরিয়ার অংশ বা কাশ্মীরের অংশ আক্রান্ত হয়েছে। সেভাবেই ব্যথিত হবো , সেভাবেই উদ্বেলিত হবো, যেভাবে আমাদের পাশের জেলা আক্রান্ত হলে হতাম।
কিন্তু হঠাৎ অনুভব হলো, এই ভাবনা কিছুটা জাতীয়তাবাদী হয়ে গেলো কিনা?! আমরা মুসলিম, এটাই আমাদের পরিচয়। আমাদের প্রিয় নবী (স) কি এটাই শিখাননি যে, আমরা সমস্ত মুসলমান এক দেহের মত। সুতরাং , এটা ভাবা হয়তো মোটেই ঠিক নয় যে, আমাদের মধ্যে এই এই দেশ বাকি আছে। বিশুদ্ধ ভাবনা তো এটাই হবে যে, আমরা আক্রান্ত। যেমন আমাদের বাংলাদেশ যখন আক্রান্ত হলো আমাদের সবাই কিন্তু ভেবেছে, আমরা আক্রান্ত হয়ে গেছি পুরো বাংলাদেশই। তখন সবাই এমনকি যাদের নিজস্ব গ্রাম শহর হয়তো তখনো আক্রান্ত হয়নি, তারাও ঝাঁপিয়ে পড়েছে দেশরক্ষায়, নয় কি?
জাতীয়তাবাদী ধারণা ইসলামের কোন অংশ নয়। কুফফার শক্তি নিজের স্বার্থ হাসিলেই মুসলমানদের মধ্যে এই ধারণা প্রচার করেছে, মানচিত্র দিয়ে আলাদা করে দিয়েছে ধীরে ধীরে। আমরা বোকার মত তা কবুল করেছি আর সমস্ত শক্তি, সামর্থ্য এবং যোগ্যতা থাকা সত্বেও নিজেরা পরস্পর অনেক দূরে সরে থেকে নিজেকে দূর্বল থেকে দূর্বল করে রেখেছি। ওদিকে কুফফাররা নিজেদের সুবিধামত পারস্পরিক ঐক্য সুসংহত করছে। অথচ বাহ্যিক স্বার্থেও যদি আমরা একতাবদ্ধ হতাম!
সুতরাং, চলুন এবং চলুন আমরা অবশ্যই সংশোধিত হয়ে যাই যে, আমরা অন্তর দ্বারা বিশ্বাস করি পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম আমরা সবাই এক দেহ , এক প্রাণ , এক জাতি। আমাদের যে অংশই আক্রান্ত হয়ে যাই, আমরা তা এভাবেই ভাবব, এভাবেই ব্যক্ত করব যে, আমাদের ফিলিস্তিনের অংশ আক্রান্ত হয়ে গেছে বা আমাদের সিরিয়ার অংশ বা কাশ্মীরের অংশ আক্রান্ত হয়েছে। সেভাবেই ব্যথিত হবো , সেভাবেই উদ্বেলিত হবো, যেভাবে আমাদের পাশের জেলা আক্রান্ত হলে হতাম।
আর আমরা আমাদের আক্রান্ত অংশের জন্য কি করবো? সেটা আমাদের আর ভাবতে হবে না। আমাদের প্রিয় হাবীব(স) আমাদের উম্মাহকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, এবং সেটাই একমাত্র সত্য , তা যদি অন্তর দিয়ে অনুভব করতে পারি - তাহলে খুব সম্ভব আমাদের আর আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে ভাবতে হবে না। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর বাংলার মানুষ যতটুকু ভেবেছে, তার থেকে কম ভাবলেও আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে অবগতি এসে যাবে ইনশাআল্লাহ।
চলুন, যেভাবে সম্ভব জাতীয়তাবাদের দূর্গন্ধ গা থেকে, মুখ থেকে এবং অন্তর থেকে ঝেড়ে ফেলি। আমরা তাওহীদের পতাকাতলে জড় হয়ে যাই আর মানচিত্রের দিকে তাকিয়ে দেখি, আল্লাহ আমাদেরকে বিশ্বের কতটুকু পর্যন্ত বিস্তৃত করে রেখেছেন।
হাসবুনাল্লাহ। ওয়া লা হাওলা ওয়া লা ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।।
চলুন, যেভাবে সম্ভব জাতীয়তাবাদের দূর্গন্ধ গা থেকে, মুখ থেকে এবং অন্তর থেকে ঝেড়ে ফেলি। আমরা তাওহীদের পতাকাতলে জড় হয়ে যাই আর মানচিত্রের দিকে তাকিয়ে দেখি, আল্লাহ আমাদেরকে বিশ্বের কতটুকু পর্যন্ত বিস্তৃত করে রেখেছেন।
হাসবুনাল্লাহ। ওয়া লা হাওলা ওয়া লা ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।।