বিশ্বের বিভিন্ন দেশ-অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদের সুর ভেসে আসছে। কোন কোন সরকার সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন মায়ানমারের সাথে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ আলহামদুলিল্লাহ প্রশংসনীয়। সরকার চাচ্ছে মায়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে রোহিঙ্গা ইস্যুর একটা স্থায়ী সমাধান করা, যাতে ভবিষ্যতে তাদের আবার পালিয়ে আসতে না হয়।
শুনতে ভালোই লাগে। ব্যাপারটা ঠিক এরকম হলেও মন্দ হত না। রাখাইন রাজ্যে অধিকার কার বেশি, এটাও অনেকেই জানে ভালভাবেই। মায়ানমার সরকার কি তা জানে না? অবশ্যই জানে। তাদের উদ্দেশ্য কি অধিকার সংরক্ষণ করা?
এই পশুরূপী অমানুষদের উদ্দেশ্য এটা ব্যতীত আর কি যে, মায়ানমারকে মুসলিমশূন্য করা? এরথেকেও কি বেশি না, অর্থাৎ মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করা এ পৃথিবীর বুক থেকে? কি মনে হয়, যারা বৈধ নাগরিকদের অবৈধ বলে আখ্যায়িত করছে; কেবল মেরে ফেলছে তা না - হিংস্র পশুস্বভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে তাদের মারছে; তারা কি এইজন্য মারছে যে, ভবিষ্যতে দু একটা সমঝোতা পাস হবে আর তারা ভদ্র মানুষের মুখোশ লাগিয়ে সহাবস্থান করবে, ভাল আচরণ করবে, রোহিঙ্গাদের শান্তির সাথে বাঁচতে দেবে মরতে দেবে?
তাদের আভ্যন্তরীণ আক্রোশ কতটুকু তা তো প্রমাণ করে দেয় ওদের নির্যাতনের, খুনের ধরনগুলো। এই হিংস্রতা, পশুত্ব কি ওরা এত সহজে উপড়ে ফেলতে পারবে?
কাফেরদের কখনো বিশ্বাস করা যাবে না। অন্যান্য দেশের আদরমাখা, সহনশীলতার উক্তিসমৃদ্ধ বাণীগুলোও কি একান্তই নির্মল? সেটা বিচার করেই দেখা যাবে, পৃথিবীর সার্বিক মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর তাদের আদরমাখা আচরণ দেখে। তাদের ইতিহাসে অন্যায় আক্রমণের উপস্থিতি-অনুপস্থিতির উপর।
বলতে চাচ্ছি, আমরা কি আমাদের মুসলিম ভাইদের স্বদেশ(যাকে কাফেররা তাদের জন্য বিদেশ বানিয়েছে) এ ফেরত পাঠাতে পারব কোন উদ্বেগ ছাড়া? এর উত্তরই দেবে আমরা কেমন মুসলিম, বা আমরা মুসলিম ভ্রাতৃত্বে কতটা বিশ্বাসী?
No comments:
Post a Comment