Saturday, September 09, 2017

রোহিঙ্গা ফেরত যাবে পিটনি খেতে?

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ-অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদের সুর ভেসে আসছে। কোন কোন সরকার সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন মায়ানমারের সাথে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ আলহামদুলিল্লাহ প্রশংসনীয়। সরকার চাচ্ছে মায়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে রোহিঙ্গা ইস্যুর একটা স্থায়ী সমাধান করা, যাতে ভবিষ্যতে তাদের আবার পালিয়ে আসতে না হয়।

শুনতে ভালোই লাগে। ব্যাপারটা ঠিক এরকম হলেও মন্দ হত না। রাখাইন রাজ্যে অধিকার কার বেশি, এটাও অনেকেই জানে ভালভাবেই। মায়ানমার সরকার কি তা জানে না? অবশ্যই জানে। তাদের উদ্দেশ্য কি অধিকার সংরক্ষণ করা? 

এই পশুরূপী অমানুষদের উদ্দেশ্য এটা ব্যতীত আর কি যে, মায়ানমারকে মুসলিমশূন্য করা? এরথেকেও কি বেশি না, অর্থাৎ মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করা এ পৃথিবীর বুক থেকে? কি মনে হয়, যারা বৈধ নাগরিকদের অবৈধ বলে আখ্যায়িত করছে; কেবল মেরে ফেলছে তা না - হিংস্র পশুস্বভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে তাদের মারছে; তারা কি এইজন্য মারছে যে, ভবিষ্যতে দু একটা সমঝোতা পাস হবে আর তারা ভদ্র মানুষের মুখোশ লাগিয়ে সহাবস্থান করবে, ভাল আচরণ করবে, রোহিঙ্গাদের শান্তির সাথে বাঁচতে দেবে মরতে দেবে? 
তাদের আভ্যন্তরীণ আক্রোশ কতটুকু তা তো প্রমাণ করে দেয় ওদের নির্যাতনের, খুনের ধরনগুলো। এই হিংস্রতা, পশুত্ব কি ওরা এত সহজে উপড়ে ফেলতে পারবে? 

কাফেরদের কখনো বিশ্বাস করা যাবে না। অন্যান্য দেশের আদরমাখা, সহনশীলতার উক্তিসমৃদ্ধ বাণীগুলোও কি একান্তই নির্মল? সেটা বিচার করেই দেখা যাবে, পৃথিবীর সার্বিক মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর তাদের আদরমাখা আচরণ দেখে। তাদের ইতিহাসে অন্যায় আক্রমণের উপস্থিতি-অনুপস্থিতির উপর। 

বলতে চাচ্ছি, আমরা কি আমাদের মুসলিম ভাইদের স্বদেশ(যাকে কাফেররা তাদের জন্য বিদেশ বানিয়েছে) এ ফেরত পাঠাতে পারব কোন উদ্বেগ ছাড়া? এর উত্তরই দেবে আমরা কেমন মুসলিম, বা আমরা মুসলিম ভ্রাতৃত্বে কতটা বিশ্বাসী?

Tuesday, September 05, 2017

মুসলমান জাগবো কবে?

মায়ানমার কর্তৃক বাংলাদেশে উঁকি দেবার দু- একটা খবর পেয়েছি । খবর ভুয়াও হতে পারে। কিন্তু সেটা প্রসঙ্গ নয়। রোহিঙ্গা মুসলিমদের যারা খুন করছে, ধাওয়া করছে তারা বৌদ্ধ এবং তাদের আক্রোশ অন্য কারো উপর নয়, শুধুমাত্র মুসলিমদের উপর। এটা নতুন কোন ইস্যুও নয়। ইতিহাস নয়, কেবল আমাদের জীবদ্দশায় যেসব কাহিনী শুনতে পাই তা পরিষ্কার করে দিয়েছে মুসলিমদের উপর কাফেরদের কি ধরনের আক্রোশ। খৃষ্ট শক্তি, বা ইহুদি কি হিন্দু বা বৌদ্ধ - এরা সুযোগ পেলেই প্রাণপণে ঝাঁপিয়ে পড়েছে আমাদের উপর। এদের একমাত্র মাথাব্যথা মুসলিমদের নিয়ে। এরপরও যদি কারো কাছে এ ব্যাপারটা পরিষ্কার না হয়, তাদের প্রতি একরাশ আফসোস। আর আফসোস তাদের প্রতি যারা এখনো জান-প্রাণ দিয়ে খ্রিষ্টান- হিন্দু সভ্যতার অনুকরণ করে যাচ্ছে।

এ আঘাত বা হানার কাহিনী নতুন কিছু নয়। এটাও উচিত নয় যে, কেবল এখনই যখন আমাদের ভাইরা আশ্রয় নিতে পালিয়ে আসছে, তখনই একটু সচেতন হয়ে উঠি। বরং সত্য হলো, আমেরিকা সুদূর পথ পাড়ি দিয়ে আফগানিস্তান নিকেশ করতে কোন দ্বিধা করেনি। এরা পাশে থেকে যে কোন দ্বিধাই যে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করবে, সেটা সহজেই বোঝা যায়। কাফের, সমগ্র কাফেরদের আক্রমণের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় - এদের মধ্যে নিয়মনীতি নাই। এদের নিয়মনীতি তোয়াক্কা করার দরকারও নেই, কারণও নেই। এরা সিদ্ধান্ত নেয়, বাস্তবায়ন করে। এদের লক্ষ্য মুসলমানদের ধ্বংস করা। এর জন্য তারা তাদের চেষ্টার ত্রুটি করে নি, করে না এবং করবেও না।

আমাদের অস্ত্র হলো- ঈমান। এ অস্ত্র আমাদের নিজেদের জন্য তৈয়ার করে রাখতে হবে। কাফের শক্তি যত না কাছে, তার থেকে কাছে হলো মৃত্যু। এ ঈমান আমাদের সবসময়ই তৈয়ার করে রাখতে হবে। বাড়াতে হবে। মেহনত করে বাড়াতে হবে।
একমাত্র ঈমানই আমাদের কাফেরদের বিরুদ্ধে অস্ত্র। আমাদের ঈমান তখন সত্য বলে প্রমাণিত হবে যখন আমরা কথা-বার্তা, আচার-আচরণ, পোশাক-আশাকে ইসলামকে ফুটিয়ে তুলতে পারবো। এমন হওয়াতো দুঃখজনক যে, যখন কাফেররা এসে দরজায় কড়া নাড়া শুরু করল তখনই সচেতন হলাম। কিন্তু এটাতো আরো দুঃখজনক যদি তারপরও সচেতন না হই। আমাদের মুসলমান হিসেবে আত্মসম্মানবোধ জাগ্রত করতে হবে। বুঝতে হবে, আমরা কেন মুসলমান (আলহামদুলিল্লাহ) আর আমাদের কাজ কি।

এখন, যখন তারা এসে কড়া নাড়ছে_চলুন আমরা আমাদের অস্ত্র রেডি করে ফেলি।

আফগানিস্তান বা ফিলিস্তিনের খবরাখবর মাঝে মাঝেই তো দেখা হয়। যখন ছবি তে দেখি তারা পালাচ্ছে, কাঁদছে _ মনটা কেমন যেন হয়ে যায়। তাদের পোশাক আশাকে দেখা যায় না মুসলমানদের ছাপ। কিন্তু তারা তো মুসলমান, আমাদের ভাই, এ কারণেই মন কাঁদে। দেখলাম রোহিঙ্গাদের। তাদের অবস্থাও প্রায় একরকমই। (আমাদের অবস্থা যে সেই তুলনায় খুব উন্নত তা তো নয়। কিন্তু যখন নির্যাতিত, পালিয়ে আসা মুসলমানদের চিত্র দেখি; তখন এ জিনিসটাই মনে বার বার আঘাত দেয়।) কিন্তু তাদের দেখে মনে আরেকটা প্রশ্ন উঠে আসে- দোষ কি কেবলই তাদের? দোষ তো তাদেরও , যাদের সুযোগ ছিল, (ঈমানী) সম্পদ ছিল; তা পৌঁছাতে চেষ্টা করে নি।

এক মাওলানার বয়ানে পড়েছিলাম, মুসলমানদের ভিতর যখন দাওয়াতের মেহনত চালু থাকে আল্লাহ তাদের কাফেরদের উপর বিজয়ী করে দেন। আর মুসলমানদের ক্রমাগত পরাজয়ের কারণ, একমাত্র দাওয়াতের মেহনতের অভাব। 

মুসলমান জাগবে কবে?
চলুন, ছোট পদক্ষেপে হলেও আল্লাহর দিকে এগিয়ে যাই। আমরা এক হাত আগালে, আল্লাহ দুই হাত এগিয়ে আসবেন। আমরা হেঁটে এগোলে আল্লাহ দৌড়ে আসবেন।

ঈমানী চেতনা জাগ্রত করি। ঈমানী কথা বলি, ভাবি। 
পরের কাজটি করার আগে বিসমিল্লাহ বলি। পরেরবার জুতো পরার আগে খেয়াল করে ডান পা আগে ঢুকাই, খোলার সময় খেয়াল করি। পরের বার পানি খাবার আগে মাথা ঢেকে নিই, বসে নিই। পরের বার বাথরূমে ঢুকবার আগে মাথা ঢেকে নিই। নিয়ত করি আর দাঁড়ি কাটবো না...

একটু কষ্ট করি। জীবন তো আর একটা নয়। এখন একটু কষ্ট করি। ইসলামকে আমাদের মধ্যে পুনরজ্জীবিত করি। এখনই করি। এখনও যদি সচেতন না হই তবে কবে হবো?
দাওয়াত দিই। আসলে দাওয়াত ছাড়া ইসলাম কি করে জিন্দা থাকবে? ছোট কিছু হলেও দাওয়াত দিই। ছোট ভাই-বোনকে ছোট ছোট কথায় দাওয়াত দিতে পারি। শুধু কথায় তো নয়। আমলেও দাওয়াত হয়। রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলি। পরিপাটি থাকি, কথাবার্তা সুন্দর করি।

আরেকটা কথা, আমরা যেন অবশ্যই জামাতবদ্ধ অর্থাৎ যথাসম্ভব ঐক্যবদ্ধ থাকি। সারাবিশ্বের মুসলমানদের বর্তমান অবস্থার জন্য এই একটা কারণকেই উল্লেখ করা যায় - আভ্যন্তরীন কোন্দল আর হুজুর (স) যে ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দিয়েছেন তা মন থেকে উপড়ে ফেলা। আমরা তাওহীদের পতাকা তলে একত্রিত হয়ে থাকি। 

রোহিঙ্গাদের সাহায্যের এখন বড় প্রয়োজন। অন্তর ভরে ওঠে যখন চিন্তা করি, আমার দেশের মানুষ যা পারছে করছে। আলহামদুলিল্লাহ, তাদের আশ্রয় দিতে পারছি, খাবার-পোশাকের সংস্থানের চিন্তা হচ্ছে। আমরা তাদেরকে আমাদের সাথে একীভূত করে নিতে পারি। কিন্তু এটাই তো চূড়ান্ত সমাধান নয়। তাদের ভূমি_আমাদের ভাইদের ভূমি তাদের কাছে ফিরিয়ে দেবার চেষ্টা করা দরকার। কিন্তু কিভাবে?
চিন্তা করুন তো সেই সেনাবাহিনীর কথা যারা নামাজী, সুন্নতী লেবাসধারী, অন্তরে তাওয়াক্কুল, আল্লাহর শত্রুরা যাদের শত্রু, যাদের সাহায্যকারী আল্লাহ?
অনেকে প্রশ্ন করেন কিভাবে রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে পারি। অনেকে বলেন, তাদের দেশ থেকে বিদেয় করে দেয়া দরকার। কেউ অবশ্য বলেন, তাদেরকে জিহাদি ট্রেনিং দিয়ে ফেরত পাঠানো যায়। তবে সব কথারই প্রথম কথা, আল্লাহর সাহায্য সাথে না নিয়ে লড়লে সারাবিশ্ব একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়লেও রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করতে পারবে না।

যারা কিছু করতে চান, পারেন না, কি করবেন ভাবেন- তারা আল্লাহর ওয়াস্তে এই কাজটা করুন। সময় করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলে যান। তাদের দ্বীন এবং ঈমান-আমল শিক্ষা দিন, তাদের শিখানোর দ্বারা আমরা নিজেরাও পুনরজ্জীবিত হব ইনশাআল্লাহ। বিশেষ করে তাদের সামনে রেখে কাজ করুন, তারা যুদ্ধের সম্মুখীন। আনসারী হয়ে তাদের ঈমানী অস্ত্র উপহার দিন। মহিলা-শিশুদের বাদ দেবেন না। শিশুরাই আগামীকালের সৈন্য, আর মহিলারাই মুজাহিদদের অনুপ্রেরণা জাগাবে। তাদের সামনে রেখে আমরা যাতে আমাদের কাজকে, দায়িত্বকে বুঝে নিই।
আমার বিশ্বাস, যদি পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও দ্বীনের হাওয়া চালু হয়ে যায়, তবে ওরা অবশ্যই নিজেদের ভূমি নিজেরা পুনঃদখল করতে পারবে। দরকার তাওয়াক্কুল, ইখলাস, সেই দ্বীনি আত্মমর্যাদাবোধ। এসব একদিনে গড়ে উঠে না; তবু চেষ্টা করতে থাকি, বাকি আল্লাহ হাওলা।

চলুন আমরা সাহাবীদের জীবনকে সামনে রেখে আমাদের কাজ গুছিয়ে নিই। 

আল্লাহ আমার ইখলাসে পরিপূর্ণতা দিন। আমাদেরকে সত্যিকার মুসলমান হবার তৌফিক দিন । আমীন।

Wednesday, August 16, 2017

কৃষিতে উন্নতি

আজকে মাথার মধ্যে আল্লাহ এমন একটা আইডিয়া দিলেন যে উঠে কম্পিউটার অন না করে পারলাম না।

এর বাস্তবায়ন যে কোন সদিচ্ছাসম্পন্নের পক্ষেই সম্ভব। তবে এর সফল বাস্তবায়নের জন্য এমন ব্যক্তিকে প্রয়োজন যিনি আল্লাহকে মানতে চান, কল্যাণকামী আর মানুষের পরকালীন কল্যাণকামী, সুন্নাতের অনুসারী, সুসম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী, আন্তরিক, আত্মবিশ্বাসী, যোগ্যতাসম্পন্ন-শিক্ষিত-ট্রেনিংপ্রাপ্ত, এবং কঠোর পরিশ্রমে পিছপা নন । স্বল্প পরিসরেও এর বাস্তবায়ন সম্ভব।

আমাদের দেশ কৃষিভিত্তিক দেশ, এবং এমন একটা দেশকে শিল্পায়িত (যথেষ্ট পরিমাণ, অতিরিক্ত না হলেও) হয়ত খুব বেশি বুদ্ধিমানের কাজ না। দেশের শিল্পায়নের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান তৈরি করা, শ্রমশক্তিকে বিদেশে পাচার না করে দেশেই কাজে লাগানো। কিন্তু আমি ভাবলাম, যদি এই শ্রমশক্তিকে দেশেই এবং কৃষিক্ষেত্রেই কাজে লাগানো যায়? 
আমার আসলে জানা নাই, এরকম কোন প্রকল্প আছে কিনা। আল্লাহ আমাদের দেশের মাটিকে এত উর্বর করেছেন যে, আমরা হয়ত শুধুমাত্র কৃষিক্ষেত্র থেকেই বিপুল পরিমাণ আয় করতে পারি এবং আমাদের প্রয়োজনীয় শিল্পদ্রব্য আমদানি করতে পারি। শিল্পে নিদেনপক্ষে যা কাঁচামাল আসে তা তো কৃষি থেকেই আসতে হবে? যাই উৎপাদন করা হোক না কেন, কাঁচামাল তো কৃষির উপরই নির্ভরশীল। কাজেই আমরা বিপুল পরিমান কাঁচামাল শিল্পায়িত দেশে রপ্তানি করতে পারি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কৃষিতে কিভাবে জনশক্তিকে কাজে লাগানো যায়।
আমাদের জানা আছে যে, প্রচুর পরিমাণ আবাদযোগ্য অনাবাদি জমি পড়ে আছে। অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমি আছে, যার মালিকের প্রযুক্তি প্রয়োগে সর্বোচ্চ লাভে চাষের সুযোগ নেই। অন্যদিকে, এত ছোট জমিতে অনেক প্রযুক্তি যেমন ট্রাক্টর ইত্যাদির প্রয়োগ ঘটানোও সম্ভব নয়। এখন এটি কি সম্ভব যে, চাষীর নিজস্ব জমিতে চাষী নিজেই কাজ করবে শ্রমিক হিসেবে এবং তাতে আধুনিকতম প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হবে?

অর্থাৎ, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমিগুলো সরকার অথবা বড় প্রতিষ্ঠান লীজ নিয়ে নেবে। ফলে কৃষক মাসিক ভিত্তিতে কিছু টাকা পাবে অন্যদিকে জমি থেকে প্রাপ্ত সম্পূর্ণ লাভ সরকার বা ঐ প্রতিষ্ঠান নেবে। এভাবে হিসেবটা সহজ হয়। সরকারের ক্ষেত্রে, জমির মালিকানা একটু ওলটপালট করে কৃষকদের বাসস্থান একদিকে সরিয়ে নেবে ফলে অন্যদিকে বিশাল বিস্তৃত জমি পাওয়া যেতে পারে। কৃষক চাইলে সম্পূর্ণ শ্রমিক হিসেবেই প্রকল্পে যোগ দেবে। এতে তার শ্রম এবং মেধাও কাজে লাগবে।
এ ব্যবস্থায় লোকসানের সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। কারণ এভাবে কম খরচে অধিক ফলন সম্ভব। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিদ্রব্য দেশের ভিতরেই এবং কাঁচামাল দেশের বাইরে রপ্তানি করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রচুর পরিমাণ লাভ করতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি যদি সরকার হয়, এবং সুসরকার, তবে এই লাভ বায়তুল মাল ধরনের কোষাগারে জমা হবে। ফলে স্বাভাবিকভাবে জনগণের প্রচুর উন্নতি ঘটবে, ইনশাআল্লাহ।

এ ব্যবস্থায় জমিতে শ্রমিক নিয়োগের পাশাপাশি হিসাবাগার, গবেষণাগার, কৃষক পরিবারের বাসস্থান সম্পর্কিত কাজে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ কর্মসংস্থান তৈরি হবে।


এখানে কয়েকটি পয়েন্ট এরকম যে __

১। প্রতিষ্ঠানটির প্রথমত প্রচুর খরচ করতে হবে। এতে ঋণও নিতে হতে পারে। কিন্তু এ ঋণ নিতে হবে সম্পূর্ণ সুদবিহীন।
২। কৃষক পরিবারগুলো মাসের প্রথমেই তাদের মাসিক প্রাপ্য পাবে। অর্থাৎ প্রকল্পটি তাদের এবং অন্যন্য বেকার শ্রমশক্তির উন্নয়নের জন্য। কাজেই তাদের যেন একটা দিনও কষ্ট করতে না হয়।
৩। কৃষক পরিবারগুলোর জন্য জমির একপার্শ্বে বাসস্থান নির্মাণ করে দেয়া যেতে পারে। ফলে ঘরভিত্তিক ভাড়া প্রতিষ্ঠানটি পাবে। এক্ষেত্রে ব্যাপারটি এমন দাঁড়াচ্ছে যে, প্রতিষ্ঠানটি জমির বদলে মাসিক কিছু টাকা পরিবারটিকে দেবে এবং পরিবারটি ভাড়া হিসেবে প্রতিষ্ঠানকে মাসিক টাকা দেবে।
৪। প্রতিষ্ঠানটি জনগণের কাছে প্রকল্পটির কল্যাণকর দিকটি তুলে ধরে জনগণের কাছেই নির্দিষ্ট মেয়াদে সুদবিহীন ঋণ নিতে পারে।
৫। প্রতিষ্ঠানটি যদি নিজেকে সৎ হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়, তবে আপামর জনতা নিঃসন্দেহে তাদের সাহায্য করবে।
৬। প্রতিষ্ঠানটি দেশের জনশক্তিকে যথাসম্ভব এ কাজে লাগিয়ে দেবে। কৃষক ট্রেনিং সেন্টার সহজলভ্য করবে। 
৭। তবে সর্বপ্রথমে নিঁখুত একটা ধারণা অংক কষে তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ কৃষকদের কি রকম লাভ দেয়া হবে, কৃষিক্ষেত্রে কি রকম খরচ পড়বে, বিপরীতে রপ্তানি করে লাভ কি রকম আসবে , তার কত পার্সেন্ট কোষাগারে জমা হবে, কতটুকু পুনঃফলনে খরচ হবে ইত্যাদি। তবে এতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে যাতে, কৃষক পরিবারের কোন ধরনের ক্ষতি না হয় এবং তারা পাওনা তো পাবেই বরং যথাসম্ভব কষ্ট কম করে থাকতে পারে, শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য পায়।
৮। কৃষকদের কোন পার্সেন্টেজ লাভ দেয়া হবে না। তারা জমি লীজ দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাবে এবং প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে কোন শেয়ার বিক্রি না করাই ভালো। কেবল সুদবিহীন ঋণ নেবে। শেয়ার বিক্রয় করলে অবশ্যই নিঁখুত হিসেবের জন্য স্পেশাল টীম তৈরি করতে হবে।
৯। শ্রমিকরাও পার্সেন্টেজ পাবে না, স্বাভাবিকভাবেই। এমনকি যদি কৃষিজমির মালিকও শ্রমিক হিসেবে যোগ দেয়। তার জমি তো তার থাকবে না। শ্রমিককে তার প্রাপ্য দিতে হবে। এ হিসেবও প্রাথমিক হিসেবের অন্তর্ভুক্ত হবে। 

এ প্রকল্পের অন্যান্য দিক __

১।ধীরে ধীরে অনেক গবেষণাগারও তৈরি হতে পারে। এর ফলে আল্লাহর সৃষ্টিরহস্য সম্পর্কে মানুষ আরো বেশি করে জানতে পারবে।
২। মসজিদ তৈয়ার হবে কৃষিক্ষেত্রের আশেপাশেই। মুসলমান শ্র্মিকরা বাধ্যতামূলকভাবে জামাতে নামাজ পড়বে।অর্থাৎ শ্রমনিয়োগের শর্ত হচ্ছে, শ্রমিক নির্দিষ্ট পরিমাণ শ্রম দেবে এবং নামাজ পড়বে জামাতে। এতে দ্বিধার কোন অবকাশ নেই কারণ নামাজ আল্লহর পক্ষ থেকে বাধ্যতামূলক এবং কৃষিক্ষেত্র , এ থেকে প্রাপ্ত লাভ, শ্রমশক্তি, সুযোগ, সঠিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের সম্ভাবনা আল্লাহ প্রদত্ত। এতে নামাজ কায়েম হবে, আর নামাজ কায়েমের এ কৃতিত্ব উদ্যোক্তার। 
অন্যদিকে, নামাজী শ্রমিকদল দিয়ে কি পরিমাণ লাভ আসতে পারে তা শুধু চোখে দেখারই অপেক্ষা। 
৩। দেশের আনাচে কানাচে জমি খুঁজে প্রকল্প আলাদা আলাদাভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪। প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন জমির জন্য ভিন্ন ভিন্ন হিসেবাগার থাকবে। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে।
৫। যে কোন সৎ ব্যক্তিও মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে কেবলমাত্র একটি এলাকা নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেন। এর জন্য দরকার সদিচ্ছা ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং পরোপকারের নির্ভুল ইচ্ছা। 

আরো অন্যান্য দিক __

১। এর সফল বাস্তবায়ন একমাত্র আল্লাহভীরু একজনই করতে পারেন।
২। প্রকল্পে সুদের দূর্গন্ধ থাকলে প্রকল্প মাঠে মারা যাওয়ার জন্য মাত্র কয়েক বছরের অপেক্ষা।
৩। বিশ্বাসভঙ্গ, শোষণের নিয়ত থাকলেও স্বাভাবিকভাবে এর বাস্তবায়নের কোন আশা করা যাবেনা।
৪। মসজিদগুলোতে নিয়মিত দাওয়াতী দলের আনাগোনা রাখতে হবে। এর ফলে_
ক... শ্রমিকদের সমস্ত নেক আমলের সওয়াব উদ্যোক্তা পাবেন।
খ...শ্রমিকদের কাজে আন্তরিকতা তৈরি হবে, ইনশাআল্লাহ।
গ...শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
ঘ...শ্রমিকদের পারস্পরিক সুসম্পর্ক থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
ঙ...শ্রমিক সম্পর্কিত যে কোন ফেৎনা থেকে বাঁচা যাবে, ইনশাআল্লাহ।
চ...শ্রমিকদের কাজে এখলাস তৈরি হবে, ইনশাআল্লাহ।
ছ... উদ্যোক্তা প্রকৃত কল্যাণকামী (শ্রমিকদের, সুতরাং বিশাল জনগোষ্ঠীর আখিরাতের) হিসেবে পরিচিত হবেন।
৫। পরবর্তীতে শ্রমিকদের কয়েকটি দল তৈরি করে সমস্ত শ্রমিকের পক্ষ থেকে সারা বছরই  কোন না কোন দলকে আল্লাহর রাস্তায় রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে আল্লাহর সাহায্য বিশেষভাবে আসার সম্ভাবনা বেশি।

এ লেখার সমস্ত সঠিক কথা আল্লাহর পক্ষ থেকে। সমস্ত বেঠিক শয়তান ও আমার পক্ষ থেকে। আল্লাহ মাফ করুন। আল্লাহ আমাদের নিয়তের বিশুদ্ধতা দান করুন এবং আমাদের এখলাসের সাথে কল্যাণকামী হবার তৌফিক দিন। আমীন। 

Saturday, August 12, 2017

উচিত শিক্ষা

ইংরেজির স্টুডেন্টদের প্রথম বছর কিছু psychological শিক্ষা দেয়া হয়েছে। যেমন, psychology of police-officer-mind, of children-mind, of president-mind, of freedom-fighter-mind,of married teen-mind(girl) ইত্যাদি। অবশ্য সাথে কিছু জরুরি বিষয় বাদ যায়নি। সুতরাং জীবন-মৃত্যু কাকে বলে, ভালবাসা কাকে বলে, ভালবেসে বেসে কিভাবে একীভূত হওয়া(র কল্পনা করা) যায় ইত্যাদিও শিক্ষা দেয়া হয়েছে। 

এবার দ্বিতীয় বছর প্রেম কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি, প্রত্যেক প্রকারে সংজ্ঞা ও উদাহরণ, এটা কিভাবে করতে হয় ইত্যাদি শিক্ষা দেয়া হল। যাই হোক, বাচ্চাদের তো এখনই এগুলো জানা দরকার।

পাঠ্য শেষে শিক্ষার্থীরা যা জানতে পারবে -

>>প্রেম কিভাবে করতে হয়, প্রেমের ভান কিভাবে করতে হয় তা উদাহরণ সহকারে প্রয়োগ ও বিশ্লেষণ 
>>কিভাবে দেখার সাথে সাথে প্রেমে পড়া যেতে পারে  
>>প্রপোজ পেলে কি কি করা যেতে পারে 
>>পরকীয়া কাকে বলে
>>সমকামিতা কাকে বলে 
>>  বিবাহিত মহিলার সাথে সম্পর্ক কেমন হতে পারে 
>>  বুড়োর সাথে সম্পর্ক কেমন হতে পারে
>> বহুবিবাহ কাকে বলে ও তার (আফ্রিকান) স্বরূপ
>>  ছেলে হয়ে মায়ের সাথে (অ্যাক্সিডেন্টলি) সম্পর্ক হলে কি হতে পারে


ইত্যাদি ইত্যাদি।

বাংলা সাহিত্যের স্টুডেন্টদেরও মনে হয় একই দশা।

[
- শিক্ষাগত যোগ্যতা?
-জ্বি, আমি প্রেম ও বিয়ে বিষয়ে অনার্স করছি।
-মিডিয়াম?
-ইংলিশ মিডিয়াম...
]